গাছের স্বাভাবিক ও নিয়মিত খাদ্যের জোগান হিসাবে আমরা মোটামুটি ভাবে সরষের খোল আর নিম খোল এই দু রকমের খোল ব্যবহার করে থাকি। এই দুটি সারই কিন্তু জৈব সার। তাই স্বাভাবিক ভাবেই এ দুটি সার, গাছের প্রয়োজনীয় মুখ্য ও গৌণ উপাদান সমৃদ্ধ ।
এবার দেখা যাক এ দুটির বৈশিষ্ট্য:
সরষের খোল বলতে সরষের দানাকে পিষে তেল বার করে নেওয়ার পর ছিবড়ে অংশ, এই খোল যেমন গরুর খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয় তেমনি গাছের সার হিসাবে বহুল ব্যবহার রয়েছে। শক্ত পিণ্ড আকারে পাওয়া যায় বলে এটাকে ইংরাজিতে mastered cake বলা হয়। কেক হিসাবে কেনার পর এটাকে গুড়িয়ে নিতে হয় তখন এটাকে mastered cake powder বলা হয়। আর একই ভাবে নিমফলের বীজকে খুব ঠাণ্ডার মধ্যে পেষাই করে নিম তেল বের করে নেবার পর যে অংশ পড়ে থাকে নিম খোল বা নিম কেক বলে, গুড়িয়ে নিলে পাউডার হয়।
এদুটোই যেহেতু উদ্ভিদজাত তাই প্রাকৃতিক, স্বাভাবিক ভাবেই পরিবেশ বান্ধব এবং একটি সুস্থ উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি উপাদান রয়েছে। প্রাথমিক তিনটে মুল উপাদান নাইট্রোজেন ফসফরাস আর পটাসিয়াম তো আছেই তাছাড়া সরষে খোলে ম্যাগনেসিয়াম, সালফার, ম্যাঙ্গানিজ এবং জিঙ্ক আর নিম খোলে ক্যালসিয়াম এবং সালফারের মত অন্যান্য ট্রেস উপাদান গুলি জৈব রূপে যথেষ্ট পরিমাণে বর্তমান। এ দুটোকে মাটিতে সরাসরিও প্রয়োগ করা যায়, কারণ সরষের খোল মাটিতে বসবাসকারী উপকারী microbes বা অণুজীব গুলোর পক্ষে অনুকুল কিন্তু এ ব্যাপারে নিম খোলের কিছু বিপরীত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এবার সেই প্রসঙ্গে আসি
আমরা যদি সার হিসাবে শুধু সরষের খোল প্রয়োগ করি তাহলে মুল তিনটি উপাদানের সঙ্গে অন্যান্য উপাদান গুলির প্রয়োজন মিটে যাবে। একই ভাবে শুধু নীম খোল দিলেও তা হবে।
কিন্তু তবুও এ দুটো একসাথে ব্যবহার করার কারণ এখানে অন্য। সেটা একতু দেখা যাক
সরসের খোল ভিজে মাটিতে মিশে বেশ একটা জীবাণু সহায়ক অবস্থা সৃষ্টি করে জার ফলে মাটিতে উপকারী এবং অপকারী দু রকমের ব্যাক্তিরিয়ার জন্ম হয়। কিন্তু নিম খোলের মধ্যে অ্যান্টি ব্যাক্তিরিয়াল গুন থাকার ফলে জীবাণু সহায়ক অবস্থা তৈরি হতে চায়না। তাতে উপকারী বা অপকারী যাই হোক না কেন। তাই উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞরা সরসের খোলের সাথে খুব অল্প পরিমাণে নিম খোল ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যাতে উপকারী- অপকারী জীবাণু তৈরি হোক কিন্তু তাদের পরিমাণ যেন কখনই অধিক মাত্রায় না যায়। সেই সঙ্গে এটি মাটিতে পোকামাকড় এবং ছত্রাকবিরোধী পরিবেশও তৈরি করে। ফলে গাছের মধ্যে শিকড় পচন ও অন্যান্য ছত্রাক, বিভিন্ন পোকা মাকড় যেমন মিলিবাগ, এফিড, সাদা মাছি, শুঁয়োপোকা ইত্যাদির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। তাছাড়াও নিম খোল নাইট্রোজেন সহায়ক এবং দীর্ঘদিন মাটির নাইট্রোজেন গ্রহণ ক্ষমতাকে ধরে রাখে ফলে মাটির উর্বরতা বজায় থাকে দীর্ঘদিন, এর সাথে অন্যান্য উপাদানের জোগান তো আছেই।
তবে সরষের খোল এবং নিম খোল আলাদা আলাদা ভাবেও ব্যবহার করা যায়, এই সিরিজের পরের ভিডিওতেই এ দুটির বিভিন্ন রকম ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা থাকছে।
এবার আসি এ দুটো জৈব সার, মাটিতে কোন কোন পুষ্টি উপাদান কতটা জোগান দিতে পারে।
সরসের খোলের npk ratio হল 4:1:1
অর্থাৎ এতে মুল তিনটি উপাদান এই অনুপাতে রয়েছে
N – 66.66 %
P – 16.67 %
K – 16.67 %
নিম খোলের NPK RATIO হল 5:1:2
পারসেন্টেজ করলে দাঁড়ায়
N – 62.5 %
P – 12.5%
K – 25%
তাহলে আমরা যদি 4:1 অনুপাতে ১০০ গ্রাম সরষের খোল আর ২৫ গ্রাম নিম খোল মিশিয়ে প্রয়োগ করি তাহলে মুল উপাদান তিনটির পরিমাণ কি দাঁড়াল ?
১০০ গ্রাম সরষের খোলে মোটামুটি ভাবে
N – 66 gram
P – 17 gram
K – 17 gram
আর নিম খোলে
N- ১৫ gram
P – ৩ gram
K – ৬ gram
দুয়ে মিলে ১২৫ গ্রাম মিশ্রিত সারে দাঁড়াল
ন – ৮১ গ্রাম
প – ২০
ক – ২৩ গ্রাম
এখন দেখা যাচ্ছে এই দুটি সারের নিয়মিত ব্যবহার তা সে আলাদা আলাদা ভাবেই হোক বা একসঙ্গে, মাটিতে নাইট্রোজেনের একটা আধিক্য কিন্তু সব ক্ষেত্রেই থেকে যাচ্ছে। আর তার মানে হল ফসফরাস আর পটাসিয়ামের অভাব ধীরে ধীরে বাড়তে থাকছে।
তাই এদের নিয়মিত প্রয়োগে দেখা যাবে গাছ সুন্দর স্বাস্থ্যকর ঝলমলে হয়ে উঠছে কিন্তু ফুল বা ফল দেখা যাচ্ছে না, এর মুল কারণ হল মাটিতে ফসফরাস এবং পটাসিয়ামের পর্যাপ্ত জোগান না থাকা, তাই তখন আমাদের ফসফরাস পটাসিয়াম আলাদা ভাবে প্রয়োগ করতে হবে তা সে জৈবই হোক বা অজৈব। আর পটাসিয়ামের অভাবে যে লক্ষণ গুলো সে গুলো যেহেতু অধিকাংশই মাটির তলায় তাই সেটা দেখতে না পেলেও ফসফরাস ঘটিত সারের সাথে কিছু পটাশ ঘটিত সার দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তবে অনেকের ধারনা আছে গাছে ফুল ফল আসছে না পটাশ প্রয়োগ করতে হবে, আসলে পটাশ এবং ফসফরাস উভয়েই গাছের ফুল ফলের কারক, তাই সাধারণ ভাবে পটাসিয়াম ঘটিত সারের সাথে ফসফরাস ঘটিত সারও নিয়মিত দেওয়া উচিত। কিন্তু শুধু পটাসিয়াম ঘটিত সার ব্যবহার করতে থাকলে পটাসিয়ামের ঘাটতি মিটলেও ফসফরাসের ঘাটতি থেকে যাবে আর আর তাতে গাছের মধ্যে একটা কাঠিন্য ভাব বাড়তে থাকবে। আর ফসফরাস এবং পটাসিয়াম এই দুই সারের প্রয়োজনীয়তা ভিত্তিক ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করলে পরবর্তীতে এ সম্পর্কে ভিডিও করব ।
এবার একটা ব্যাপার আলোচনা না করলেই নয়, অনেকের মনে হতে পারে আমি কেন এত বিস্তারিত আলচনা করি, উত্তরে শুধু বলব আমি একটা ভিডিও করলাম তাতে বললাম অমুক সারটা দিন তাতে এটা হবে, সেটা হবে, কিন্তু আমি আমার যে গাছটা দেখিয়ে ভিউয়ারদের ইমপ্রেস করছি তার যে কন্ডিশন, অন্য সকলের গাছ গুলো তো সেই একই কন্ডিশনে নাও থাকতে পারে, তাই আমার মনে হয় আকচুয়াল ফান্ডা টা একবার জানিয়ে দিতে পারলে আপনারা নিজেরাই স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারবেন, তাই এই অযথা বকবকানি,
প্রয়োগের প্রচলিত পদ্ধতি গুলো মোটামুটি ভাবে তিন রকম,
১। সরাসরি প্রয়োগ
গাছের কাণ্ড থেকে 3 ইঞ্চি রেখে গাছের চারপাশে 2-3 ইঞ্চি গভীরে একটি নালা বা পরিখা কেটে নিয়ে সেখানে সমানভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, পরে মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এরপর পাত্রে জল দিতে থাকতে হবে যতক্ষণ না পাত্রের নিচ থেকে কিছু জল বের হওয়া শুরু হয়। 12 ইঞ্চি পাত্রের জন্য এক কাপ বা প্রায় ২৫-৩০ গ্রাম বা ৪- ৫ টেবিল চামচ প্রতি 45 দিন অন্তর প্রয়োগ করা যেতে পারে। যদি গাছটি বড় হয় তবে পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে সেক্ষেত্রে পাত্রের ব্যাস বা গাছের উচ্চতা প্রতি 1-ফুট বৃদ্ধির জন্য টব পিছু হাফ কাপ বা ১০ থেকে ১৫ গ্রাম বা ১ -২ টেবিল চামচ বাড়ান যেতে পারে। এই পরিমাপটা শুধুমাত্র সরষের খোল এককভাবে সরষের খোল আর নিম খোলের মিশ্রনের ক্ষেত্রে, কিন্তু যদি শুধুমাত্র নিম খোল দেবার প্রয়োজন হয় তাহলে তার পরিমাণ টব পিছু ২৫-৩০ গ্রামের পরিবর্তে ৮ থেকে ১০ গ্রাম বা ১- দেড় তেনিল চামচ এক কাপের একের চার ভাগই যথেষ্ট। নিম খোল ব্যবহার ভাল ঠিকই কিন্তু অধিক প্রয়োগে মাটির বিভিন্ন বায়োলজিক্যাল ব্যাল্যান্স নষ্ট হতে পারে এর ফলে গাছের উপর প্রভাব পড়ে এ ব্যাপারে এর আগের ভিডিওতে আলোচনা করা হয়েছে। আর উভয় খোল মিসিয়ে প্রয়োগের ক্ষেত্রে, গাছ এবং ঋতু অনুযায়ী আবহাওয়ার বিচারে ৪ঃ১ অথবা ৫ঃ ১ যেকোনো একটা অনুপাত ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন অন্যান্য সময়ে ৫ঃ১ অনুপাত ব্যবহার করলেও বর্ষা কালে ৪ঃ১ অনুয়াত ব্যবহার করলে ভাল, অন্তত আমি এই রেশিও ফলো করি
২। জলীয় দ্রবণ হিসাবে প্রয়োগ
প্রতি লিটার জলে ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম এই হিসাবে জলে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা ঢাকা দিয়ে ছায়ায় ভিজিয়ে রাখা হয়। এরপর যে পরিমাণ জলে খোল মেশান হয়েছিল সম পরিমাণ জল ওই দ্রবণে মিশিয়ে দ্রবণটি লঘু করে নেওয়া হয়। এবার ১০ থেকে ১৫ দিন অন্তর ১২” ব্যাসের টব প্রতি 1 থেকে ২ কাপ করে দেওয়া যেতে পারে। প্রথম দিকে অল্প পরিমাণে শুরু করাই ভাল পড়ে ফলাফল বিবেচনা করে ধীরে ধীরে পরিমাণ বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
একই ভাবে এই দ্রবণ গাছের গোঁড়া থেকে ৩-৪ ইঞ্চি ছেড়ে নালা কেটে সেখানে দেওয়া উচিত। তবে কমপ্লিট বনসাইয়ের ক্ষেত্রে এভাবে নালা কাটা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে অবশ্যই মাটিকে আগে ভিজিয়ে নিতে হবে। এব্যাপারে খুব শিগগিরি যে বনসাই প্রশিক্ষণ সিরিজটি চালু হবে সেখানে বিস্তারিত আলোচনা থাকবে।
এখানে একটা জিজ্ঞাসা তৈরি হতে পারে যে যেখানে সরাসরি প্রয়োগে টব পিছু ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম দেওয়া হয়, সেখানে জলীয় দ্রবণের ক্ষেত্রে ২৫-৩০ গ্রামের জলীয় দ্রবণ কমবেশি দু লিটার, তাহলে প্রায় চার পাঁচটা টবে দেওয়া যাবে তাতে কি পুষ্টির জোগান কি কম হচ্ছে না ? উত্তরে বলি এখানে প্রয়োগের ইন্তারভ্যাল বা ব্যবধান টাও কিন্তু কমে আসছে। সরাসরি প্রয়োগে যেখানে ৪০-৪৫ দিনের ব্যবধান রাখা হয় সেই জায়গায় তরল হিসাবে প্রয়োগে সেই ব্যবধান কমে ১০ থেকে ১৫ দিন হচ্ছে। এর সাথেই বলে রাখি ছোট বা বড় চারা গাছে সরাসরি প্রয়োগ না করে তরল প্রয়োগ করাই নিরাপদ।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা এই জলীয় দ্রবণ যদি খুব ছোট গাছে দেওয়া হয় তাহলে ছেঁকে নিলে ভাল হয় অথবা ৫-৭ মিনিট অপেক্ষা করে দ্রবণের মুল পাত্রে দ্রবণটির মধ্যে থাকা সরষের বীজের কুচি অংশগুলো থিতিয়ে গেলে ওপরের পরিষ্কার জলটা, যদিও সেটা ঘোলাটে, সেইটা তুলে নিয়ে দিলে ভাল, কারণ ওই থিতিয়ে যাওয়া বর্জ্য অংশ গাছের মাটিতে পড়লে সেখানে খুব সূক্ষ্ম পোকামাকড় এবং ছত্রাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাছাড়া ওই বর্জ্য মাটিতে একটা আস্তরণ ফেলে ফলে দু চারদিন পর, গাছের গোঁড়ায় দেওয়া জল মাটি সহজে টেনে নিতে পারে না।
৩। সরষের খোল জলে ভিজিয়ে তার জল যেমন মাটিতে দেওয়া হয়ে থাকে তেমনি এটা সরাসরি গাছের পাতায় স্প্রে করলেও ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মাটিতে দেওয়ার জন্য যে দ্রবণ সেটাই প্রয়োজন অনুযায়ী আরও একটু লঘু বা পাতলা করে নেওয়া যেতে পারে। কারন মাটির উপরে থাকা গাছের বিভিন্ন অংশের মধ্যে পাতা খুবই নরম এবং সেনসিটিভ। যাই হোক পাতায় স্প্রে সম্পর্কে বলতে গিয়ে সরষের খোলের উল্লেখ করা হল কিন্তু নিম খোল বা উভয় খোলের মিশ্রণের কথা বলা হলনা তাহলে কি নিম খোল পাতায় দেওয়া হয় না ? এর উত্তরে বলি সরষের খোলের মত নিম খোলে পাতায় স্প্রে করলে অবশ্যই মাটিতে প্রয়োগের মতই কাজ করবে, তবে তা খুবি কম মাত্রায়। তবে তাৎক্ষনিক ভাবে উড়ন্ত পোকা মাকড়ের উপদ্রব এড়াতে বাহ্যিক প্রয়োগ অবশ্যই লাভ দায়ক হতে পারে,
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল এখানে উল্লেখ করা সমস্ত পরিমাপকে কাঁটায় কাঁটায় মেনে চলতে হবে এমন নয়। এগুলো কেবলই একটা গাইউ লাইন। অভিজ্ঞতা যত বাড়তে থাকবে এব্যাপারে প্রয়োজন মত পরিমাপ নিজেরাই করে নিতে সক্ষম হওয়া যাবে।
আরও এক কথা যে পদ্ধতিতেই প্রয়োগ করা হোক না কেন সেটা যেন বিকালের দিকে বা সন্ধ্যার দিকে হয়, কারণ সূর্যের তাপ থাকাকালীন প্রয়োগ করলে গাছের স্ট্রেস বা চাপ বাড়ে, এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
বিশেষ করে, প্রখর গ্রীষ্মে পাতায় অথবা মাটিতে দ্রবণ হিসাবে অবশ্যই সন্ধ্যাকালীন সময়ে প্রয়োগ করা নিরাপদ আর প্রয়োগের আগে গাছের টবের গায়ে হাত দিয়ে ঠাণ্ডা হয়েছে দেখে নিয়ে প্রয়োগ করলে ভাল। আর টবের মাটি শুষ্ক থাকলে প্রয়োগের আগে অবশ্যই মাটি ভিজিয়ে দিয়ে ২০- ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
১ নং পদ্ধতিতে প্রয়োগের পর যদি ২ নং পদ্ধতি প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয় তবে ১নং পদ্ধতিতে যে ব্যবধানের উল্লেখ করা হয়েছে অর্থাৎ ৪৫ দিনের ব্যবধান রাখলে ভাল। আবার প্রথমে ২নং পদ্ধতি প্রয়োগ করার পর ১ নং পদ্ধতি প্রয়োগের প্রয়োজন হলে ২ নং পদ্ধতিতে উল্লেখ করা সময় অর্থাৎ ১০ থেকে ১৫ দিনের ব্যবধান রাখলে ভাল। তবে বিশেষ প্রয়োজন হলে অন্য কথা। আর তৃতীয় পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভাবে গাছের বাহ্যিক অংশের ওপর প্রযোজ্য তাই আগের দুটো প্রয়োগ পদ্ধতির সঙ্গে এর তেমন সম্পর্কও নাই, তবে পর পর দুবার ফলিয়ার স্প্রের মধ্যে অন্তত ১৫ – ২০ দিনের ব্যবধান রাখা ভাল।